রাজধানীর সবুজবাগে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী উর্মি আক্তারের মৃত্যুর ঘটনায় করা আত্মহত্যার প্ররোচনা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মো. শামীম নামের এক আসামিকে তিন দিন পুলিশের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
একই সঙ্গে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অপর আসামিকে গাজীপুরের টঙ্গীতে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার এ আদেশ দেন ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের হাকিম আতিকুল ইসলাম।
এদিন দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেকেকে পুলিশি হেফাজতে রেখে সাত দিনের জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. লিটন মিয়া।
এসময় জিজ্ঞাসাবাদ বাতিল চেয়ে আবেদন করেন আসামি শামীমের আইনজীবী। অন্যদিকে অপর আসামীকে ১৭ বছর বয়সী এবং শিশু উল্লেখ করে তার জন্ম পরিচয়পত্র আদালতে দেন আইনজীবী।
কিশোর হিসেবে গণ্য করে তাকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দিয়ে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল খোলার পর শুনানির জন্য মামলাটি রেখে দেন বিচারক।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা এসআই রাফাত আরা সুলতানা।
সোমবার সকালে সবুজবাগ থানায় দুই জনকে আসামি করে আত্মহত্যায় প্ররোচনা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন উর্মির বাবা আবুল হোসেন।
আসামিরা হলেন মো. শামীম এবং অন্যজন এক অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর।
মামলার এজাহারে বলা হয়, উত্তর বাসাবোয় মামার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতেন উর্মি। একই এলাকার ওই কিশোর তার আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিও দেখিয়ে উর্মিকে ব্ল্যাকমেইল করে আসছিলেন তিনি ও শামীম। বেশ কয়েকবার তার কাছ থেকে টাকাও নিয়েছেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, প্রথম দফায় বিশ হাজার এবং দ্বিতীয় দফায় সতের হাজার টাকা নেন আসামিরা। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি উর্মির। আসামিরা তার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল করেছে। একারণে লোকলজ্জার ভয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, রোববার রাতে গলায় ফাঁস দেন উর্মি। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। দুই বোনের মধ্যে উর্মি সবার বড় ছিলেন।